শেষ ওভার পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা—নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজ যেন নাটকীয়তার সেরা উদাহরণ। প্রতিটি ম্যাচেই জয়-পরাজয়ের ব্যবধান সামান্য, প্রতিটি বলেই রোমাঞ্চ। অকল্যান্ডে প্রথম দুই ম্যাচে দুই দল জিতেছিল পালা করে, সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। আজ নেলসনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ম্যাচেও ফল নির্ধারিত হলো শেষ ওভারে।
টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং ধসে পড়েছিল, তখন লোয়ার অর্ডারে রোমারিও শেফার্ড ও শামার স্প্রিঙ্গারের অসাধারণ জুটিতে ম্যাচ জমে ওঠে। নবম উইকেটে দুজন মিলে ৩৯ বলে ৭৮ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন—টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের নবম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি।
তবু শেষ পর্যন্ত জয় হাসল নিউজিল্যান্ডই। কাইল জেমিসন, ড্যারিল ডাফি ও ইশ সোধির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ বল বাকি থাকতে ১৬৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরে যায় ৯ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ১৭৭ রান। দলের পক্ষে ডেভন কনওয়ে ৫৬, ড্যারিল মিচেল ৪১ ও রবীন্দ্র ২৬ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ফোর্ড ও হোল্ডার নেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ দিকে শেফার্ডের ৪৯ ও স্প্রিঙ্গারের ৩৯ রানে দল ফিরে আসে ম্যাচে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় মেলেনি। আগেও রেকর্ড জুটি গড়েও হারের অভিজ্ঞতা ছিল শেফার্ডের—২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ব্যবধান ৯ রানের।
লেগ স্পিনার ইশ সোধি নেন ৩ উইকেট, সঙ্গে আকিম অগাস্টের গুরুত্বপূর্ণ রানআউটে ভূমিকা রাখায় নির্বাচিত হন ম্যাচসেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৭/৯ (কনওয়ে ৫৬, মিচেল ৪১; ফোর্ড ২/২০, হোল্ডার ২/৩১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.৫ ওভারে ১৬৮ (শেফার্ড ৪৯, স্প্রিঙ্গার ৩৯; সোধি ৩/৩৪, ডাফি ৩/৩৬)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইশ সোধি
সিরিজ অবস্থা: পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে।

