সকল সেক্টরে ব্যপক সংস্কার ঘটিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে আমলু পরিবর্তন আনতে হবে

সকল সেক্টরে ব্যপক সংস্কার ঘটিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে আমলু পরিবর্তন আনতে হবে

কামরুল কুদ্দুস রেইনিঃ (প্রবাস থেকে) বিশ্ব মানচিত্রে¦ মোট ১৯৫টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে। বিশ্ব ইতিহাসে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে প্রাচীন
কাল থেকেই। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে বিশ্বের অনেক জাতি বা গোষ্টি ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনে ছিল। এসব জাতি গোষ্টি দীর্ঘ সংগ্রাম বা
যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধনতা অজর্ন করেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশ একটি ঔপনিবেশিক শক্তির অধীন থেকে দীর্ঘ নয় মাস যাবৎ রক্তক্ষয়ী এক
যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ ষালে ¯স্বাধীনতা লাভ করে। এর পুর্বে অবশ্য ২০০ বছর ইউরোপীয় এক ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনতা থেকে ১৯৪৭
সালেন ১৪ ও ১৫ই আগষ্ট পাকিস্তান ও ভারত স্বধীনতা লাভ করেছিল। আমরা স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫৪ বছর পার করলেও একটি সুশৃঙ্খল উন্নত
রাষ্ট্র হিসেবে এখনও বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। এর অনেক গুলো কারন রয়েছে। তবে যে জনগোষ্ঠি নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি গড়ে
উঠেছে তার মধ্যে রয়েছে পরুুশ, নারী ,শিশু, ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক, কষক ও বিভিন শ্রেনী পেশার মানুষ। বিভিন্ন শ্রেনীপেশার সকল জনগোষ্ঠির
নিরাপত্তাসহ সুন্দরভাবে বেচে থাকার গ্যারান্টি প্রদান করে রাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন শেন্র ীপেশার মানুষ রয়েছে অবহেলিত।
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে বহু মানুষ।তবে ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পরে সব শ্রেনীর মানুষই জীবনের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক
স্বচ্ছলতা, দূর্নীতিমুক্ত পরিবেশ ও জুলুম, নির্জাতন,নীপিরনমুক্ত সুন্দর জীবনের আকাঙ্কা করে।

সেক্ষেত্রে সবার আগে বাংলাদেশে নারীদের নিরাপত্তাসহ সুন্দর জীবনের গ্যারান্টি রাষ্ট্রকে দিতে হবে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন স্বৈরশাসকদের
দুঃশাসনের ফলে নারীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে
পড়েছে। অনেকেই আশা করে জুলাই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে নারীরা তাদের বঞ্জিত সুযোগ সুবিধা ফিরে পাবে।একচি সুখী সমদ্ধৃ রষ্ট্র প্ির তষ্টার জন্য
নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
একই ভাবে বাংলাদেশে শিশুরাও একটি সমৃদ্ধ পরিবেশে বেড়ে উঠেনি। বাধাগ্রস্থ হয়েছে শিশুদের জন্য সুন্দর জীবনের প্িরতশ্রুতি। ফলে অগনিত
শিশু ভবগুরে টোকাইতে পরিনত হয়ে ছিনতাইকারী রূপে চিহ্নিত হয়েছে। এসব শিশুদেরকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দায়ীত্ব এখন
রাষ্ট্রকে নিতে হবে। অতএব, নীতিনৈতিকতা, স্বচেতনতাসম্পন্ন ও আদর্শবান প্রার্থীদেরকে আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে হবে। এজন্য জনগনকে
স্বচেতন থাকতে হবে।
আমাদের দেশের বিচারবিভাগকে জুলাই সনদের অঙ্গীকার মোতাবেক ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগে পচ্র ুর লোকবল নিয়োগ দিয়ে ডিজিটাল
ষ্টাইলে বিচার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হবে। বিচার বিভাগের উপর নির্বা হী বিভাগ অথবা
আইন বিভাগের খবরদারী চলবে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুয়োগ দিতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের গনমাধ্যমকে বিভিন্ন স্বৈরশাসকদের শাসনামলে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করা হয়েছে। দেখা গেছে দেশের পচ্র ুর
গনমাধ্যম স্বেরশাসকদের গোলামে পরিনত হয়েছে।এমনকি কিছুকিছুগনমাধ্যম যগু যুগ ধরে বিদেশী শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। দেশে একটি শক্তিশালী পেস্র কাউন্সিল গঠন করে সকল গনমাঅধ্যমকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
মোদ্দা কথা হোল এখন আর দেশে আগের মত স্বৈরশাসন বা পরিবারতন্ত্র কায়েম করা যাবে না। দেশের সকল সেক্টরগুলোকে সক্রীয় করে গড়ে
তুলতে হবে।জুলাই বিপ্লবের ফসল হিসেবে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সর্বোস্তরে ঢেলে সাজাতে হবে। জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি
সঠিক দেশপ্রেমিক দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, যাতে সকল সেক্টরে ব্যপক সংস্কার ঘটিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোকে গনমুখী করে গড়ে তোলা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *