মুহূর্তটা যেন স্বপ্ন দেখার মতো—স্টেডিয়ামে নিস্তব্ধতা, বক্সের ভেতরে জটলা, আর ওপরে ভেসে থাকা বল। ঠিক তখনই আকাশে উড়ন্ত পাখির মতো উঠে পড়েন হামজা চৌধুরী। পরের সেকেন্ডেই ঘটে যায় সেই জাদুকরি মুহূর্ত—এক নিখুঁত বাইসাইকেল কিক, আর বল সোজা জালের উল্টো কোণে!
দর্শক, ধারাভাষ্যকার, এমনকি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক—সবার চোখের সামনে যেন মুহূর্তটি থমকে গিয়েছিল। তারপরেই কানফাটানো উল্লাস।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ তারকার এমন গোল যেন ফুটবলের এক শিল্পকর্ম। সোশ্যালমিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই মন্তব্যের বন্যা—
“এটা কি সত্যি? নাকি CGI?”
“ওফ! এমন বাইসাইকেল কিক তো সিনেমায় দেখেছি!”
ম্যাচ বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যেই এটিকে মৌসুমের অন্যতম সেরা গোল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়েও এমন আক্রমণাত্মক দক্ষতা দেখানো হামজার ক্যারিয়ারের নতুন দিক উন্মোচন করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
দলের কোচও প্রশংসায় ভাসান তাকে। তিনি বলেন—
“এই গোল আমাদের শুধু লিড দেয়নি, দলকে মানসিকভাবেও বদলে দিয়েছে। এমন আত্মবিশ্বাসী খেলোয়াড় খুব কমই দেখা যায়।”
হামজা ম্যাচশেষে ছিলেন বিনয়ী। হাসিমুখে শুধু বললেন—
“বলটা ঠিকমতো সামনে এলে আর ভাবিনি—শুধু চেষ্টা করেছি। ভাগ্য ভালো, হয়ে গেছে।”
তবে ভক্তরা বলছেন—এটি ভাগ্যের নয়, প্রতিভার গোল।
এমন মুহূর্তই প্রমাণ করে কেন হামজা চৌধুরী আজ বিশ্বের নজরে, আর কেন তার নাম আলোচনা হতে হতে এখন শীর্ষ তারকাদের পাশে জায়গা করে নিচ্ছে।

