যে চাঞ্চল্যকর কারণ কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গেলেন না তামিম

যে চাঞ্চল্যকর কারণ কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গেলেন না তামিম

নানা ঘটনায় আলোচিত হচ্ছেন তামিম ইকবাল। কয়েকদিন আগে বিপিএলের একটি ম্যাচ শেষে তিনি রংপুর রাইডার্সের বিদেশি ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। আজ (বৃহস্পতিবার) স্বদেশি ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের সঙ্গেও কিছু একটা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেছেন। তবে ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন তামিম, ফিফটির ইনিংসটি তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কারও এনে দেয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তিনি পুরস্কার নিতে হাজির হননি!

ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তামিমের ফরচুন বরিশাল ২৪ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়। অধিনায়ক তামিম ৬১ রান করেন। ৪৮ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এ নিয়ে বরিশালের হয়ে তার ফিফটির সংখ্যা দাঁড়াল সাতে, যা ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে সর্বোচ্চ। এর আগে বরিশালের জার্সিতে সর্বোচ্চ ৬টি ফিফটি ছিল সাকিব আল হাসানের।

সতীর্থের রেকর্ড ভেঙে ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ও হন তামিম। তবে পুরস্কার নিতে তাকে দেখা যায়নি। বরিশালের সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ফ্র্যাঞ্চাইজির সূত্রে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের মতে, তামিম পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের পাশে কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলেন। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের আসার কথা ছিল, কিন্তু তার দেরি হওয়ায় তামিম ২০ মিনিট অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান। এরপর শান্তকে পুরস্কার মঞ্চে পাঠানো হয়।

তবে তামিমের বিরক্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বরিশালের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন, যেখানে তার ছেলে আরহামের উপস্থিতিতে ভালো ইনিংস খেলা ও মাঠের আকার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, ফিট থাকলে বিপিএলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট প্রশাসনে না থাকলেও ২২ গজে তার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নেরও জবাব দেন তামিম।

চলতি বিপিএলে তামিম ৬ ম্যাচে ২২২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সদ্য অবসর নেওয়া এই টাইগার অধিনায়ক ২ ফিফটির সঙ্গে ৪৪.৪০ গড় এবং ১৪৪.১৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছেন। আজকের জয়ে বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ৬ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে তাদের পয়েন্ট ৮। শীর্ষে রয়েছে রংপুর রাইডার্স ১৪ পয়েন্ট নিয়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *