বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান স্প্যানিশ ক্লাবে খেলা জিদান মিয়া

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান স্প্যানিশ ক্লাবে খেলা জিদান মিয়া

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে দীর্ঘদিন ধরেই একজন দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব অনুভূত হচ্ছে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হলেও ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না। ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করা ম্যাচেও এই সমস্যা স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন ফাহমিদুল কিংবা বিদেশি লিগে বাংলাদেশি ফুটবলার দলের সঙ্গে যোগ দিলে কাটতে পারে এই সংকট।

এবার সেই সম্ভাবনার তালিকায় যুক্ত হতে পারেন স্পেনে খেলা জিদান মিয়া। রায়ো ভায়েকানোর ‘সি’ দলে খেলা এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। হামজার চৌধুরীর মতো গায়ে জড়াতে চান লাল সবুজের জার্সি। জিদানের বাবা নিজেই জানিয়েছেন তার খেলার ইচ্ছার কথা। অবশ্য তিনি জানিয়েছেন এই ইস্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ হয়নি তাদের।

দেশের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিদানের বাবা সুফিয়ান মিয়া বলেন, ‘আমরাও চাই বাংলাদেশ দল ভালো করুক। হামজা চৌধুরী তো জাতীয় দলে খেলছে, জিদানের নামও অনেকবার এসেছে।’ তবে তিনি আক্ষেপ করে জানান, ‘এখনও পর্যন্ত বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু আমি চাই আমার ছেলে বাংলাদেশ দলে খেলুক।’

২০০১ সালের ৭ মার্চ যুক্তরাজ্যের কেন্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন জিদান মিয়া। তার পরিবার সিলেটের মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা হলেও বহু বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। মাত্র সাত বছর বয়সে ডেভিড বেকহ্যাম একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি।

ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ১১ বছর বয়সে পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান জিদান। সেখানে এরি এফসি, কলম্বাস ক্রু অনূর্ধ্ব-১৪ দল এবং টেক্সাসের মাইকেল জনসন পারফরম্যান্স সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ছয় বছর ধারে এফসি ডালাস ইয়ুথ টিমের হয়ে খেলার পর বর্তমানে স্পেনের রায়ো ভায়েকানোর ‘সি’ দলে খেলছেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছা থাকলেও ২০১৪ সালের পর আর দেশে আসা হয়নি জিদান মিয়ার। এখন প্রশ্ন হলো, বাফুফে কি তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেবে? অবশ্য প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা থাকার কথা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। জুনে দেশে ও দেশের বাইরে হতে পারে প্রতিভাবান ফুটবলারদের ট্রায়াল।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *