টিম ম্যানেজমেন্ট সাইফুদ্দিনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এরপর মাঠের ক্রিকেটে দেখা যায়নি এই অলরাউন্ডারকে। তবে সাইফুদ্দিন বর্তমানে ছোট লিগ ক্রিকেটে ব্যস্ত। এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন তিনি।
এদিক লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তিনি। ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর গত বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পান এই অলরাউন্ডার। বেশ কিছু পারফরম্যান্সের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েন এই অলরাউন্ডার।
এই দিনে আটলান্টায় ফোর্ট লডারডেল সিংহরা আটলান্টা ফায়ারের প্রতিপক্ষ ছিল। ২০ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আটলান্টা ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করে। দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেন স্টিভেন টেলর। মাত্র ৬১ বলে ১১২ রান করেন হ্যাঙ্কেন ৯টি চার ও ১ টি ছক্কায়।
এছাড়া রাজদীপ দরবার ৩২ বলে ৬৬ রান করেন। ফিনিশিংয়ে দুর্দান্ত কাজ করেছেন সাইফুদ্দিন। ১৮ বলে ৩২ রান করার পর ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ২ চার ও ৩ ছক্কা মেরে তার পাওয়ার হিটিং দক্ষতা দেখান।
শেষ পর্যন্ত আটলান্টার স্কোর ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান। জবাবে ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যারিবিয়ান গ্রেট শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে টায়গানারিন চন্দরপলকে হারায় লডারডেল। প্রথম বলেই তাকে ফেরত পাঠান সাইফুদ্দিন।
এরপর থেকে সাইফুদ্দিনকে দেখেই খেলা শুরু করে দলটি। ইশাইয়া রাজা, ডিনো চিননাম, কেভিন স্টুটের ব্যাট দিয়ে দল বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ক্লিনটন পেস্তানোর উইকেটও নেন সাইফুদ্দিন। তিনি ৪ ওভার বল করেছিলেন এবং দিনে মাত্র ১১ রান দিয়েছিলেন দুই উইকেটের জন্য, সেটিও একটি মেডেন ওভার।
লডারডেলের সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে কেভিন স্টাউটের ব্যাট থেকে। তিনি ৪০ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কা মারেন। এছাড়াও তিনি ৩৩ বল মোকাবেলা করে তিনটি ছক্কা ও তিনটি চার মারলেও চিনমের ব্যাট থেকে সহজেই ৩৫ রান আসে।
থিয়াগানারায়ণনকে গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ দেওয়ার সময় সাইফুদ্দিন ছিলেন দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। ওভার প্রতি ৩ রানেরও কম দেন। তার মতো কর্ন ড্রাই ও জিয়া মোহাম্মদ শাহজাদও পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে পৌঁছানোর পর, লডারডেল ৭৪ রানের বিব্রতকর পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।