চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে তারই পরিচিত সেলিম। এলাকাবাসী হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে রফিকুল ইসলামের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) রেফার্ড করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের নতুনপাড়ার মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ইট-বালি ও মাটি ব্যবসায়ী। আহত রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, “সেলিমের সঙ্গে সম্পর্ক ভাইরা ভাইয়ের মতো। রাতে সে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরে আমার বাড়িতে থাকতে চেয়েছিল। রাত ১টার দিকে সে আমাকে বলার পর আমি ঘুমিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পরেই ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। কেন এমন করল, জানি না।”
রফিকুলের বড় ভাই মফিজুর রহমান বলেন, “হঠাৎ ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমরা ঘরে ছুটে আসি। দেখি সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেলিমকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটেছে, আমরা জানি না।”
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় জানান, “রফিকুল ইসলারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাম চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে, এছাড়া মাথা ও ডান হাতেও ধারাল অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এনআইওএইচ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, ঘটনার পরপরই সেলিম নামের হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। তার থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

