মানবতাবিরোধী অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা আজ। এই রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে ক্ষমতাচ্যুত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ঢাকাসহ ৯ জেলায় যানবাহনে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও ফেনীতে বুধবার-বৃহস্পতিবার এসব নাশকতার ঘটনা ঘটে। রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আরও ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজধানীতে চার জায়গায় বাস ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরে তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিরপুর, কারওয়ানবাজার ও মৌচাকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট-আখাউড়া রেলপথের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে রেললাইনের স্লিপার ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা করা হয়। তবে কালনী এক্সপ্রেস সময়মতো থামায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় আগুন লাগানো হয়, তবে টাকার ভল্টে কোনো ক্ষতি হয়নি।
ফুলবাড়িয়া ও ফেনীতে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছে। রাজধানীতে শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, হাইকোর্ট এলাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে ঢাকার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাসে স্থানান্তরিত হয়েছে। মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের প্রিপারেটরি স্কুল ও ইউরোপীয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, সানবীম স্কুল অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে। শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশও নির্ধারিত দিনগুলোর ক্লাস ও পরীক্ষা অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সার্বক্ষণিক নজরদারি চালিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

