বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তারেক রহমানের দেওয়া ‘গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্য মূল্য পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ’—এই মন্তব্যকে তিনি বলেছেন ‘রাষ্ট্রনায়কসুলভ নয়, বরং রাজনৈতিক অজ্ঞতার পরিচায়ক।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে “জুলাই সনদ: কৃষক বঞ্চনা ও ন্যায্যতার প্রশ্ন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নাসীরুদ্দীন বলেন,
“একজন যিনি নিজেকে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রস্তুত করছেন, তিনি যদি বলেন গণভোটের চেয়ে আলুর দাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে সেটি দুঃখজনক। তিনি হয়তো জানেন না, যাদের তিনি মনোনয়ন দিচ্ছেন, তারাই আবার কৃষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বাজারে আলুর দাম বাড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “নিজের লোক দিয়ে দাম বাড়িয়ে পরে কৃষকদের দায়ী করা—এটাই হলো অপরাজনীতি, যা গত ১৫ বছর ধরে চলছে। এ রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতের নেতাদের প্রতি আহ্বান, আপনারা শালীন হোন, সংযম দেখান।”
এ সময় এনসিপি নেতা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত হতে যাওয়া ১৭ নভেম্বরের রায়কে “বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঐতিহাসিক মাইলফলক” বলে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, “রায়ের আগে আওয়ামী লীগ ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা গত ১৫ বছর ধরে যে অর্থনৈতিক লুট করেছে, সেই টাকায়ই এখন বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে—ককটেল ফুটিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে।”
তিনি শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাশ, যুগ্ম সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনসহ অন্যান্য নেতারা।
তাসনিম জারা বলেন, “বর্তমান সংবিধানের কাঠামো এমন যে, প্রধানমন্ত্রী সব প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করতে পারেন। ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ক্ষমতার কাছাকাছিদেরই সুবিধা দেয়।”
অন্যদিকে সারোয়ার তুষার বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সরকারকেই জারি করতে হবে, যাতে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হয়।”

