জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী মন্তব্য করেছেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে অনৈক্যের কারণে আওয়ামী লীগ মাঠে সুবিধা পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে “জুলাই সনদে কৃষক বঞ্চনা ও ন্যায্যতার প্রশ্ন” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “দুই দল নিজেদের মধ্যে বিরোধ তৈরি করার কারণে আজকে আওয়ামী লীগ মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছে। জামায়াতের কর্মসূচি একদিন হয়, বিএনপির অন্যদিন। আর এই বিরোধের মধ্যেই শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে রায়ের আগে আওয়ামী লীগ অনলাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ভীতি ছড়িয়েছে। নাসীরুদ্দীন বলেন, 지난 ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে অর্থনৈতিক লুটপাট করেছে, সেই অর্থ দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
নাসীরুদ্দীন আরও সমালোচনা করে বলেন, “একজন ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক গণভোটের চেয়ে আলুর দাম বেশি প্রাসঙ্গিক বলছেন। এটি অজ্ঞতার পরিচয়। যে লোককে তিনি এমপি নমিনেশন দিয়েছেন, সেই ব্যক্তি কৃষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।” তিনি এ ধরনের নীতিকে ‘অপরাজনীতি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি বন্ধ করতে হবে এবং ভবিষ্যতের রাজনীতিকদের সতর্ক ও সংযমী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রতিটি শাখাকে রাজনীতিকরণ করতে পারেন, যা শুধু ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দেয়, অন্যদের নয়।
এছাড়া এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্জিত সবকিছু রক্ষা করতে সরকারকে নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাশ, যুগ্ম সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন, কৃষক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফসা জাহান ও সাঈদ উজ্জ্বল, সংগঠক সুলতান হোসেন, মো. শাহজাহান, মাসুদ রানা, মো. রাসেল হোসেন ও মো. জসীম উদ্দিন।

