তুরস্কের ফুটবলে বড় ধরনের জুয়ার কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) ঘোষণা দিয়েছে, জুয়ায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের মোট ১০২ জন ফুটবলারকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুপার লিগের ২৫ জন ও দ্বিতীয় স্তরের লিগের ৭৭ জন খেলোয়াড়কে ৪৫ দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
গালাতাসারাই ও তুরস্ক জাতীয় দলের ডিফেন্ডার এরেন এলমালি ৪৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। একই ক্লাবের অনূর্ধ্ব-২১ সেন্টার-ব্যাক মেতেহান বালতাচিকে নয় মাস, আর কোন্যাসপোরের সেনেগালিজ উইঙ্গার আলাসানে নদাওকে ১২ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এলমালি ইনস্টাগ্রামে জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি এমন একটি ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন যা তাঁর নিজের ক্লাবের ছিল না।
বালতাচিও বাজি ধরার কথা স্বীকার করেছেন, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, কখনোই নিজের অংশগ্রহণ থাকা কোনো ম্যাচে তিনি বাজি ধরেননি। তার ভাষায়, ‘তখন বিষয়টির পরিণতি ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি।’
আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শুধু ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য—খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারবেন। চলমান তদন্তে ইতোমধ্যে ১,০০০-এর বেশি খেলোয়াড়কে প্রফেশনাল ফুটবল ডিসিপ্লিনারি বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
ফেডারেশন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের লিগ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে, যদিও সুপার লিগ ও দ্বিতীয় স্তরের লিগ চালু রয়েছে।
টিএফএফ সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানোগ্লু পরিস্থিতিকে ‘নৈতিক সংকট’ আখ্যা দিয়ে বলেন,
“তুরস্ক ফুটবলে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে আমরা কোনো আপস করব না।”
এই জুয়া কেলেঙ্কারিকে তুরস্ক ফুটবলের চলমান অগ্রগতির জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশটি ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩২ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবে।

