শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আলোচনায় এসেছে তার ফাঁসি কার্যকরের বিষয়। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে শতাধিক নারীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে, কিন্তু কেউই ফাঁসির কার্যকরী শাস্তি ভোগ করেননি। গাজীপুরের কাশিমপুর নারী কারাগারেও কোনো ফাঁসির মঞ্চ নেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন জানিয়েছেন, নারী, কিশোর ও অসুস্থ আসামিদের জন্য জামিনে অগ্রাধিকার থাকলেও রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে নারী–পুরুষের মধ্যে কোনো আলাদা সুবিধা নেই।
কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৯৪ জন নারী ফাঁসির আসামি হিসেবে বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে কাশিমপুর কারাগারে আছেন ৩৪ জন। এর আগে বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসি এখনও কার্যকর হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়ার পেছনে রয়েছে আইনি জটিলতা, উচ্চ আদালতের আপিল, ফাঁসির মঞ্চের অনুপস্থিতি এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফ জামিল বলেন, শেখ হাসিনার মামলা অন্য নারীর মামলার তুলনায় ভিন্ন। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধের মামলা, আসামি পলাতক। দেশে ফেরার পর তার ফাঁসি কার্যকর হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

