এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ঠিক আগের দিন বড় বিপাকে পড়েছে ভারত। ফিফার প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ফুটবলার রায়ান উইলিয়ামসকে ঢাকায় এনেছে দলটি। আজ রাত ৮টায় বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচকে ঘিরে শেষ ২৪ ঘণ্টা জুড়েই দোটানায় ছিল ভারতীয় শিবির—রায়ান আদৌ খেলতে পারবেন কি না।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, ম্যাচ কমিশনার ভারতকে কিছু অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন। তবে নির্ধারিত নিয়ম ভাঙলে বাংলাদেশ আপত্তি তুলবে। তিনি বলেন, ‘তারা যদি সময়সীমা অমান্য করে বা নিয়মের বাইরে যায়, আমরা অবশ্যই আপত্তি জানাব। ম্যাচ কমিশনার আপিলের ফর্মও আমাদের দেখিয়েছেন।’
রোববার বিকেলের ম্যানেজারস মিটিংয়ে দুই দলকে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ভারত তালিকা জমা দেয়নি। ভারতীয় কর্মকর্তারা সময় বাড়ানোর অনুরোধ করলে বাংলাদেশ জানিয়ে দেয়—তারা রাতের অনুশীলন শেষে স্কোয়াড দেবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভারতকেও তালিকা জমা দিতে হবে।
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের আগের দিন স্কোয়াড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদিও আগের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা এই নিয়ম মানেননি, এবার তিনি বিষয়টিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছেন ভারতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে।
ভারত যদি নির্ধারিত সময়ের পর স্কোয়াড জমা দেয় বা রায়ান উইলিয়ামসকে ছাড়পত্র ছাড়া অন্তর্ভুক্ত করে, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রায়ানের যোগ্যতা নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্ন। পারিবারিক সূত্রে ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া এই ফুটবলার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যুব দলসহ সিনিয়র দলের হয়েও খেলেছেন। ফলে তাকে অন্য দেশে খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র এবং ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন—যা এখনো ভারত পায়নি। তবুও ভারত কোচ খালিদ জামিল তাকে স্কোয়াডে রেখে ঢাকায় এনেছেন।
প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে জামিলও স্বীকার করেন, ‘আমরা এখনও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাইনি, অপেক্ষায় আছি।’ তবে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে—রায়ান উইলিয়ামসকে দলে রাখার অনুমতি মেলেনি। ফলে আজকের ম্যাচেও তার খেলা হচ্ছে না।

