বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে মুহূর্তে ভারতীয় খেলোয়াড়ের হাতে বল লেগেছে, সেই ঘটনায় রেফারি পেনাল্টি দেননি। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, শুধু “হাতে বল লাগল” হওয়াই পেনাল্টি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, রেফারি মনে করেছেন হাতটি স্বাভাবিক অবস্থানে ছিল, অর্থাৎ “অপ্রাকৃতিকভাবে বড়” নয়। তাই হাত লাগা হলেও এটিকে হ্যান্ডবল হিসেবে ধরা হয়নি। অন্য সম্ভাবনা হলো, স্পর্শটি ইচ্ছাকৃত ছিল না বা ঘটনার পুরো প্রেক্ষাপট (যেমন হাতের স্পর্শ + স্কোরের সুযোগ) পেনাল্টি প্রদানের যোগ্যতা পূরণ করেনি।
রেফারি বা VAR (যদি ব্যবহার করা হয়) পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখেছে, খেলোয়াড়ের হাতের অবস্থান, শরীরের গতিবিধি এবং লাইভ অঙ্গভঙ্গি মিলিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ নেই যা হ্যান্ডবল ফাউল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য।
IFAB-এর নিয়ম অনুযায়ী, হাত বা বাহু যদি “অপ্রাকৃতিকভাবে বড়” অবস্থানে থাকে বা স্পর্শটি ইচ্ছাকৃত হয়, তখনই পেনাল্টি দেওয়া যেতে পারে। তাই রেফারি শুধুমাত্র হাতের স্পর্শ দেখেই সিদ্ধান্ত নেন না; হাতের অবস্থান, স্পর্শের প্রকৃতি এবং গোল করার সুযোগের ওপর ভিত্তি করেই পেনাল্টি প্রদানের বিষয়টি নির্ধারিত হয়।

