চতুর্থ দিন শেষে বড় জয়ের আভাস মিলেছিলই, পঞ্চম দিনে ক্যাম্ফারের প্রতিরোধ শুধু অপেক্ষা বাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানের দাপুটে জয় পেয়েই মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট রাঙিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডকে ২–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রোববার সকাল শুরু করেন কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪ ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন ১১ রান নিয়ে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ম্যাকব্রেইন—২১ রানে তাকে এলবিডব্লু করে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। দলের রান তখন ১৮৯।
এরপর জর্ডান নেইলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ক্যাম্ফার। দুজনের ৪৮ রানের জুটি আইরিশদের আশা বাঁচিয়ে রাখে। নেইল ৩০ রানে ফিরলে একাই প্রতিরোধ টিকিয়ে রাখেন ক্যাম্ফার, মধ্যাহ্ন বিরতিতেও ম্যাচকে নিয়ে যান তিনি।
বিরতির পরও তার লড়াই থামেনি। তবে গ্যাভিন হোয়েকে ৩৭ রানে হারানোর পর শেষদিকে টিকতে পারেননি আর কেউ। ম্যাথু হ্যাম্পায়ার আউট হলে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ও ম্যাচ। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৫৯ বল খেলে অপরাজিত ৭১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত সঙ্গীহীন হয়ে ফেরেন ক্যাম্ফার।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ নেন সমান ৪টি করে উইকেট।
মুশফিকুর রহিমের জন্য ম্যাচটি ছিল বিশেষ—তার ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক ছোঁয়া মুশফিক ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল—প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি (১০৬) এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫৩ রান করে দলের বড় জয়ে অবদান রাখেন।
মিরপুরে প্রথম ইনিংসে মুশফিক ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান তোলে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জবাবে ২৬৫ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ, ফলে আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫০৯। সেই পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তারা থামে ২৯১ রানে।

