রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান শাহিন্সের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের ‘এ’ দলের জন্য ছিল ছয় বছর আগের সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। শুরুটা হয়েছিলও আশাব্যঞ্জকভাবে—বাংলাদেশ দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই বদলে যায় চিত্র। পাকিস্তানের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৩ রানে সাত ব্যাটার ফিরলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল বাংলাদেশ।
এমন হতাশার মাঝেও আলো দেখান রাকিবুল হাসান। তাঁর ঝড়ো কাউন্টার এটাক দলকে ফিরিয়ে আনে ম্যাচে। কিন্তু নবম ব্যাটার হিসেবে রাকিবুল আউট হতেই আবারও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপরও শেষদিকে আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডলের সাহসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ গড়ায় নাটকীয় সমতায়। শেষ ওভারে ৭ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, আর পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ উইকেট। সাকলাইন–রিপনের ব্যাটে আসে ৬ রান, সুপার ওভারের লড়াই বাঁচিয়ে রাখে দল। তবে অতিরিক্ত ওভারের রোমাঞ্চে আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ; পাকিস্তান ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক আকবর আলী বলেন,
“ম্যাচ জেতার বিশ্বাস আমাদের ছিল, কিন্তু শট নির্বাচন মোটেও আদর্শ হয়নি—এই ব্যর্থতার দায় আমরা নিজেরাই নিচ্ছি। আমরা জানতাম এমন উইকেটে স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাট করা কঠিন হবে। যখন আমরা বোলিং করেছি, তারাও খুব বেশি রান তুলতে পারেনি। পুরো ম্যাচটাই ছিল স্পিনারদের লড়াই, আর দুর্ভাগ্যবশত আমরা জিততে পারিনি।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“টুর্নামেন্টজুড়ে ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ গর্বিত। আমাদের দলে এখনও অনূর্ধ্ব-১৯-এ না খেলা দুই তরুণ ক্রিকেটার আছে। নিঃসন্দেহে দলে আরও অসাধারণ কিছু প্রতিভা রয়েছে।”
প্রবাসী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,
“মাঠে উপস্থিত আমাদের ভাই-বোনেরা পুরো সময় পাশে ছিল। তাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”

