বিপিএলে বড় দলে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে এবার মনে হচ্ছে, তিনি আর দলকে অপেক্ষায় রাখছেন না, বরং নিজের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন। তা না হলে কীভাবে সম্ভব, এক ইনিংসে সাত উইকেট তুলে নেওয়া! দুর্বার রাজশাহীর জার্সিতে এমন বিস্ময়কর পারফরম্যান্স অনেকেই ভাবেননি।
তাসকিনের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের ফলে তিনি রেকর্ডবুকে ঢুকে গেছেন। টি-২০ ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিনের এই বোলিং ফিগার এখন সেরা। এতদিন বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার ছিল সাকিব আল হাসানের, যিনি সিপিএলে ৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন।
শুধু সাকিবই নন, বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানও ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তবে তাসকিন তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তিনি ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এটা শুধু বাংলাদেশের সেরা বোলিং নয়, বিপিএলের ইতিহাসেও সেরা বোলিং ফিগার। আগের রেকর্ডে সাকিব ও মুস্তাফিজকে পেছনে ফেলতে তাসকিন ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরকে, যিনি ১৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন। ৬ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন আরেক পাকিস্তানি মোহাম্মদ সামি। তাসকিন তাদের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে ৭ উইকেট শিকার করে ক্রিকেট দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন।
এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক রেকর্ড বইতে তাসকিনের বোলিংয়ের নামও দেখা যাবে। টি-২০ ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এটাই, যা আগে দেখা গেছে মাত্র দুটি occasions-এ। মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদরুস ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। আর ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসের কলিন আকারম্যান ১৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন। তাদের পর তাসকিনের নাম এখন বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় স্থান পেয়েছে, ১৯ রানে ৭ উইকেট শিকার করে।