বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ডেভিড মালানের ফিফটির পর ফাহিম আশরাফ এবং মোহামদ নবীর ফিনিশিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
পাওয়ারপ্লে শেষেও খুলনার তাণ্ডব অব্যাহত ছিল। মারমুখী ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখ দ্রুত রান তুলতে থাকেন এবং ২৬ বলে পৌঁছান ফিফটির মাইলফলকে। তবে ফিফটির পরেই থেমে যান তিনি, ২৭ বলে ৫১ রান করে দলের ৯৯ রানের সংগ্রহে সাজঘরে ফিরে যান।
নাঈমের বিদায়ের পর কিছুটা ধীর গতিতে চলে আসে খুলনার ইনিংস। অ্যালেক্স রস ১৫ বলে ২০ রান করেন, আর আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৭ বলে ৩২ রান করেন। উইলিয়াম বোসিস্তো ১৬ বলে ২০ রান করে শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকেন।
শেষের দিকে ম্যান ইন ফর্ম মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এক ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন। তার ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে খুলনা বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স।
বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ ২ উইকেট নিয়েছেন, আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস ফুলার, মোহাম্মদ নবী এবং এবাদত হোসেন চৌধুরী।
জবাব দিতে নেমে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি ১১ রানের মাথায় ভেঙে যায়। তাওহিদ হৃদয় ৭ বলে ১১ রান করে আউট হন। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন ডেভিড মালান। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে বরিশাল কিছুটা ধারাবাহিকভাবে এগোতে থাকে, তবে বেশিরভাগ সময় ম্যাচের চালিকাশক্তি ছিলেন মালান। পাওয়ারপ্লে শেষে ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তোলে বরিশাল।
পাওয়ারপ্লে শেষেও মালান তার তাণ্ডব চালিয়ে যান। তামিমও তার সঙ্গে সঙ্গ দেন। ১০০ রানের গণ্ডি পার হওয়ার পর ২৫ বলে ২৭ রান করে তামিম আউট হন। মালান তার ফিফটি পূর্ণ করে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান, ৩৭ বলে ৬৩ রান করে ১২১ রানের মাথায় আউট হন।
এরপর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে ৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। রিয়াদ ১৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন, আর পরের বলেই মুশফিক ১৭ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। দুটি দ্রুত উইকেট পতনের পর ফরচুন বরিশাল কিছুটা চাপে পড়ে।
তবে চাপ থেকে বেরিয়ে আসেন ফাহিম আশরাফ এবং মোহাম্মদ নবী। তাদের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে শেষ দুই ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল, যা তারা সহজেই ৬ বলে ১ রানে নেমে আনে। ৫ বল হাতে রেখেই বরিশাল জয় তুলে নেয়।
নবী ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন, আর ফাহিম ৬ বলে ১৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয়।
খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি, আর ১টি করে উইকেট নেন সালমান ইরশাদ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।