জুলাই বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ কানাডার নাগরিকত্ব ধারণের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ লাভের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের আশ্রয় নিয়েছিলেন, যা দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
দুদক এক বিবৃতিতে জানায়, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে, এবং তার প্রার্থিত যোগ্যতার তথ্য সঠিক ছিল না। আরও জানা যায়, পুতুল কানাডার পাসপোর্টধারী নাগরিক ছিলেন।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা প্লট দখল করেছেন পুতুল। এর কারণে তার এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়া, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় এবং অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুদক দাবি করেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেল ব্যবহার করে তিনি ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুল রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, এবং এই অর্থ নিজের লাভে পরিণত করেছেন। তদুপরি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে করমুক্ত অর্থ গ্রহণ করেছেন, যা সরকারের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব তথ্য সংগ্রহ করে দুদক জানিয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।